নাম শেখ শাহিল। বয়স ১৯ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহের পাতুলিয়া গ্রামে। এখনও পর্যন্ত সবুজ-মেরুণ জার্সি গায়ে আই লিগের ১২টি ম্যাচেই খেলেছেন। পোজিশন মিডফিল্ডার। আগামী ১২ মার্চ থেকে তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষায় বসছেন না শেখ সাহিল! জানিয়ে দিয়েছেন তার বাড়ির অভিভাবকদের! কারণ? ততদিনে তার অন্য পরীক্ষা, মানে যেটা এখন তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেই আই লিগের পরীক্ষার ফল তিনি জেনে যেতে পারেন।
মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার অন্যতম ভরসা শাহিল। গঞ্জালেস, বেইতিয়াদের পাশাপাশি শাহিলের নামও সমান জনপ্রিয়তায় উচ্চারিত হচ্ছে সবুজ-মেরুণ সমর্থকদের মুখে। মাঝমাঠে শাহিলের নিখুঁতভাবে করা স্ন্যাচিংয়েই যে বিপক্ষের আক্রমণ তৈরি করা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেটা বারবার স্বীকার করেছেন কোচ ভিকুনা। যে কারণে দলের একটাও ম্যাচে শাহিলকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না স্প্যানিশ কোচ।
শাহিলের উত্থান কীভাবে? মোহনবাগানের নার্সারি দলের ট্রায়ালে তার সম্ভাবনা দেখে শাহিলকে তুলে আনেন বর্ষীয়ান অনন্ত ঘোষ। অনূর্ধ্ব ১৮ মোহনবাগানের হয়ে সুযোগ পাচ্ছিলেন না শাহিল। তখন তাকে মহমেডানে সই করিয়ে নিয়মিত খেলানোর জন্য মহমেডানের যুব দলের কোচকে বলতেন অনন্ত ঘোষ। তারপর নিজে মহমেডানে কোচ হিসাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে নিয়মিত শাহিলকে খেলিয়ে তৈরি করেন অনন্তবাবু। ২০১৯-এ মোহনবাগানের যুব দলে ফিরেই নজর কাড়তে শুরু করেছিলেন শাহিল। অনন্ত ঘোষের কথায়, “আমার দলে শাহিল খেলত স্টপারের জায়গায়. কিন্তু ওর মধ্যে নিখুঁতভাবে লম্বা পাস করার এক স্বাভাবিক দক্ষতা ছিল। কিবু সেটা দেখেই ওকে মাঝমাঠে নিয়ে এসেছে।” ময়দানের শেষ দাপুটে বাঙালি মিডফিল্ডার মেহতাব হোসেনও নিশ্চিত যে শাহিলের মধ্যে ভবিষ্যতে জাতীয় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে।
ফুটবলই জীবন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন না শেখ শাহিল!


