যত কাণ্ড কল্যাণীতে! আগামী রবিবার যুবভারতীতে ডার্বি. তার প্রস্তুতিতে বুধবার কেরলের গোকুলম এফসি-র কাছে ১-৩ গোলে হার!গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখছিলেন ইস্টবেঙ্গলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সঞ্জিত সেন ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শতবর্ষে ক্লাবের এই হাল দেখে ভক্তরা প্রশ্ন তোলেন দল গঠন নিয়ে। তাঁরা বার বার জানতে চান, চূড়ান্ত ব্যর্থ মার্কোসের বদলে কেন নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার আনা হবে না? এর পরেই সমর্থকদের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে দুই আধিকারিকের উপরে। শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হন তাঁরা। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ পপকর্নের প্যাকেট ছুড়ে মারেন, কেউ জুতো দিয়ে আঘাতও করেন। অভিযোগ, ইস্টবেঙ্গলের সিওও-ও পাল্টা হাত চালিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্যালারিতে ওঠে পুলিশ। লাল-হলুদের দুই শীর্ষ আধিকারিককে তাঁরাই উদ্ধার করেন। তাতেও ক্ষোভ কমেনি। স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি দেন আলেসান্দ্রোর উদ্দেশেও। সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হয়ে হতাশ সিইও বলেন, ‘‘একটা ম্যাচে হারের জন্য সমর্থকেরা যা করছেন, তাতে খুব খারাপ লাগছে। ওঁরা হয়তো ভেবেছেন, আমার তরফে খামতি রয়েছে। অথচ আই লিগে আমরাই সব চেয়ে বেশি খরচ করেছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দিনের শেষে আমিও এক জন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তাই হতাশ।’’
হারের পরে আলেসান্দ্রোর ব্যাখ্যা, ‘‘ছ’টা ম্যাচে কখনও এক দল খেলাতে পারিনি। তার উপরে সমস্যা আরও বেড়েছে, বোরখা গোমেস পেরেস দেশে ফিরে যাওয়ায়।’’ সাংবাদিক বৈঠকে তার দাবি, ‘‘এটা নিছকই একটা হার। একে আমি বিপর্যয় বলে মনে করছি না। আমরা ভাল খেলতে পারিনি। বেশ কিছু ভুল হয়েছে। যখন আমরা ভাল খেলতে শুরু করলাম, তখনই দ্বিতীয় গোলটা হয়ে গেল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘দল হারলে সমর্থকদের ক্ষুব্ধ হওয়া অতি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।’’ আগামী রবিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি। এই মুহূর্তে দলের যা হাল তাতে কি জেতা সম্ভব? মোরিনহোর প্রাক্তন সহকারী বলছেন, ‘‘হাতে সময় খুব কম। দ্রুত ভুলভ্রুতি শুধরে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”